মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে গ্রেফতার না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন সেই তরুণীর ।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে নুরদের গ্রেফতারের জন্য আবারও আবেদন করেন তিনি। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করেছেন।
পরে আদালত থেকে বেড়িয়ে ওই ছাত্রী হুমকি দেন, আসামিরা গ্রেফতার না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
ভিকটিম বলেন, লালবাগ ও কোতয়ালী থানায় ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর দুটি মামলা দায়ের করি। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের মামলা দায়েরের পরপরই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। দুই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একই। দুই থানাই আসামিদের গ্রেফতার করতে পারছে না। এ বিষয়ে একাধিকবার থানায় যোগাযোগ করেছি। থানা বলছে, আমরা চেষ্টা করছি। আসামিরা এতটাই টেকনিক্যাল বিষয়ে এক্সপার্ট যে কোনোভাবে তাদের লোকেশন ট্র্যাক করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, অনেকদিন হয়ে গেলো, আসামি গ্রেফতার হলো না। তারপর আমি আদালতের শরণাপন্ন হলাম।
ভিকটিম আরও বলেন, আমি ন্যায়বিচার কতটুকু পাবো, সেটা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশে একটা ট্রেন্ড চালু আছে, মৃত্যুর পর সবারই টনক নড়ে। তারপর বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়, ব্যানার, ফেস্টুন, মানববন্ধন হয়।
আমি নিজে প্রকাশ্যে এসেছি, কথা বলেছি। তারপরও সাড়া পাইনি। কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। অবস্থা যদি এরকম চলতে থাকে, তাহলে আমিও সেই পথটাই বেছে নেবো, যে পথ অনেকে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি, আমার এ সাহসিকতা, ন্যায়বিচার চাওয়ার অপরাধে আমার দণ্ড হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে আমার মৃত্যুটাই ভালো। মৃত্যুর পর যদি বিচার হয়, তাহলে তা-ই হোক। সেদিকেই হাঁটবো।
গত ৪ অক্টোবর ভিপি নুরসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের জন্য আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত সেদিনও আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।
এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়। নুর ও মামুন ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
Leave a Reply